Version : English | Bengali

 

 

 

     

 

 
 
 

   

FONT PROBLEM ?

 

     ARTICLES

 

 


 
অনুচ্ছেদ ৩
সাংগঠনিক কর্মসূচি

১. প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি

২. পাঠাগার/গ্রন্থাগার আন্দোলন

৩. বিশ্বের সাথে যোগাযোগ/পরিচিতি

৪. চিকিৎসা সেবা

৫. খেলাধুলা/সাংস্কৃতিক

৬. জীবনমুখী মহিলা কর্মসংস্থান/বৃত্তিমূলক শিক্ষা  

১. প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি

শিশু প্রতিভবিকাশ কেন্দ্রের প্রাথমিক শিক্ষার হবে ৬ বছর মেয়াদী এবং এটি উপ- প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হিসেবে পরিগণিত হবে।

ক.শিক্ষা

                   ক. প্রাক- প্রথম শ্রেণী (প্রস্ত্ততি পর্ব)

                   খ. প্রথম শ্রেণী

                   গ. দ্বিতীয় শ্রেণী

                   ঘ. তৃতীয় শ্রেণী

                   ঙ. চতুর্থ শ্রেণী

                   চ. পঞ্চম শ্রেণী 

খ.শিক্ষণ পদ্ধতি

জাতীয় শিক্ষানীতি/শিক্ষাক্রমের সাথে সমস্বয় রেখে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষণ পদ্ধতিতে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি নিবার্চিত ও পরিচালিত হবে। 

২.পাঠাগার/গ্রন্থাগার আন্দোলন

          জ্ঞান বিকাশের জন্য গ্রন্থাগার ও পাঠাগার চর্চার কোন বিকল্প নেই। বিশ্বের অপার রহস্য জানা ও সমৃদ্ধ জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে পাঠাগার, দেয়াল পত্রিকা, ত্রৈমাসিক পত্রিকা,স্কুল বির্তক প্রতিযোগিতা, প্রযুক্তির সাহায্যে বিভিন্ন সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করা যেতে পারে। বছরের একটি নিদিষ্ট সময়ে এলাকার একজন গুণীজনকে বিশেষ কাজের/অবদানের জন্য সংবর্ধনার মাধ্যমে  শিশুদের মাঝে প্রেরণা যোগানো যেতে পারে। 

৩. চিকিৎসা সেবা

          গ্রামের জনগণ উন্নত চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত। এলাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ক্যাম্পেইন পদ্ধতিতে চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানের একটি নিজস্ব ফার্মাসী গঠন করে সাবক্ষণিক একজন দক্ষ পল্লী মহিলা চিকিৎসক নিয়োগ দানের মাধ্যমে শিশু ও মহিলাদের উন্নত চিকিৎসাসহ সুস্বাস্থের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া যেতে পারে। মাঝে মাঝে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনা যেতে পারে এবং  এলাকার বিভিন্ন চিকিৎসা কায্যক্রমে সম্পৃক্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সহযোগিতা প্রদান করা যেতে পারে। 

৪. খেলাধুলা

          সুস্বাস্থ্যের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। শিশুর শারীরিক কাঠামো গঠনের জন্য অনানুষ্ঠানিক খেলাধুলা বিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রমের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। বিভিন্ন সময় স্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও গ্রাম/ইউনিয়ন/উপজেলা ভিত্তিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক সজীবতা আনয়নসহ মানসিক উদ্যমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। 

৫. বিশ্বের সাথে যোগাযোগ/পরিচিতি

           জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিল্প, দর্শন, প্রযুক্তিতে বিশ্ব আজ অনেক দূর এগিয়ে। কিন্তু গ্রামের সাধারণ মানুষ এসব সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত। নানা কুসংস্কার ও অবিজ্ঞানমনস্কতায় আবদ্ধ। এলাকার জনগণকে এ জড়তা থেকে বেড়িয়ে আসতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার কোন বিকল্প নেই। কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও টেলিফোন সুবিধা, প্রজেক্ট ভিত্তিক সেমিনার ও টেলিভিশন প্রদর্শনের মাধ্যমে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে। 

৬. জীবনভিত্তিক মহিলা কর্মসংস্থান/কারিগরি শিক্ষা

          গ্রামের অধিকাংশ মহিলা কর্মহীন জীবন যাপন করে। ফলে এদের ভেতর সব সময় অন্যের উপর নির্ভরশীলতা ও হীনমন্যতা কাজ করে। এছাড়া অনেক প্রতিভাময় মেয়ে  অকালে বিয়ের পিড়িতে বসে সংসার জীবনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখী হয়ে নিজের সৃজনশীলতাকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়। সংসারে নেমে আসে দুঃখ কষ্ট। ফলে শিশুর শিক্ষা অর্জনে ব্যাঘাত ঘটে। কেননা শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন প্রত্যেক মাতা- পিতা। অতএব, এসব পিতা-মাতাকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনমুখী কাজের সাথে সংযুক্ত করা যেতে পারে এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গঠনের মাধ্যমে এদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও কর্মমুখী করা যেতে পারে। এতে শিশুর মায়ের প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ততা সৃষ্টি হয়ে গ্রামের সাথে নিবিড় সস্পর্ক গড়ে উঠবে ও তারা গ্রামেই থেকে যাবে এবং পিতা উন্নত প্রশিক্ষণ অর্জনের মাধ্যমে শহর ও শহরের বাইরে কাজে দক্ষতা রাখবে।

 

অনুচ্ছেদ ১ | অনুচ্ছেদ ২ | অনুচ্ছেদ ৩ | অনুচ্ছেদ ৪ | অনুচ্ছেদ ৫ | অনুচ্ছেদ ৬-১০ | অনুচ্ছেদ ১১-১৫ | অনুচ্ছেদ ১৬-শেষ |

 

 
   

copyright@2011                            

Shishu Protivabikash Kendra